পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা (ইংরেজি: (Polar coordinate System) এক ধরনের দ্বিমাত্রিক স্থানাংক ব্যবস্থা যেখানে সমতলের প্রতিটি বিন্দুর অবস্থান একটি নির্দিষ্ট বিন্দু ও একটি নির্দিষ্ট অক্ষরেখার সাপেক্ষে নির্নয় করা হয়। নির্দিষ্ট বিন্দুটিকে পোলার স্থানাংক ব্যবস্থার সাপেক্ষ বিন্দু ও নির্দিষ্ট রেখাটিকে সাপেক্ষ রেখা বলে।
মূল বিন্দুকে পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় সাপেক্ষ বিন্দু এবং একটি নির্দিষ্ট অনুভুমিক অক্ষ L কে পোলার স্থানাংক ব্যবস্থার মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ হিসাবে ধরা হয়। মূল বিন্দু থেকে স্থানাঙ্ক ব্যবস্থায় প্রকাশিত বিন্দুর দুরত্বকে ব্যাসার্ধ ভেক্টর বা ব্যাসার্ধ বলা হয় যা r দ্বারা প্রকাশ করা হয় (উল্লেখ্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরr একটি ধনাত্বক স্কেলার সংখ্যা) এবং r এর সাথে সাপেক্ষ বা মূল অক্ষ L এর উৎপন্ন ধনাত্বক কোণকে ভেক্টরিয়াল কোণ বলে যা θ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। একটি বিন্দুকে পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় (r,θ) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।[১]
প্রকাশের উপায়
বিভিন্ন কোণের মাধ্যমে ষাট মূলক পদ্ধতিতে একটি পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা
ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকেθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।
পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]
সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।
কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।
Polar coordinate system
ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকেθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।
পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]
সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।
কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।
Polar coordinate system
ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকেθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।
পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]
সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রতিটি বিন্দুর সতন্ত্র পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা
Polar coordinate system
কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।
Polar coordinate system
ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকেθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।
পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]
সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রতিটি বিন্দুর সতন্ত্র পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা
1.Polar coordinate system
কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।
2.Polar coordinate system
ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকেθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।
পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]
সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।
কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য আজকের লেখাটি খুবই উপকারি হবে। তো চলুন বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো পড়ি।
বাংলাদেশ (Bangladesh) বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন : উপমহাদেশে প্রথম পুলিশ ব্যবস্থা চালু করেন উত্তর : লর্ড ক্যানিং।
এই বিভাগের আরো পোস্ট :
প্রশ্ন : ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ‘ডি-৮ সম্মেলন’র আয়ােজক দেশ ছিল উত্তর : বাংলাদেশ।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজাতি উত্তর : মারমা।
প্রশ্ন : জিজিয়া কর ছিল উত্তর : মুসলমানদের ওপর ধার্য সামরিক কর।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত রয়েছে উত্তর : ২টি দেশের।
প্রশ্ন : জগদ্দল বিহার অবস্থিত উত্তর : নওগাঁ জেলায়।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট অবস্থিত উত্তর : ঢাকার সাভারে।
প্রশ্ন : জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার নাম উত্তর : জাইকা।
বাক্যের ব্যবধান হল ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের লেখার বাক্যের মাঝে অনুভূমিক ব্যবধান। এটি হল একটি বানান ও লেখা সাজানোর ব্যাপার। ইউরোপে স্থানান্তর উপযোগি ছাপা চালু হবার পর থেকে, রোমান লিপির ভাষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বাক্যের ব্যবধান সাজানোর উপায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।[১] এর মধ্যে আছে সাধারণ শব্দ ব্যবধান (বাক্যের অন্তঃস্থিত শব্দগুলোর মাঝে), একটিমাত্র বড় ব্যবধান, এবং দুইটি সম্পূর্ণ ব্যবধান।
বিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত, বিভিন্ন দেশে প্রকাশনা সংস্থাগুলো এবং ছাপাখানাগুলো বাক্যের মাঝে অতিরিক্ত ব্যবধান ব্যবহার করত। এই গতানুগতিক ব্যবধান প্রক্রিয়া ব্যতিক্রমও ছিল – কিছু ছাপাখানা বাক্যের মাঝে অক্ষর ব্যবধানের থেকে প্রশস্ত নয় এমন বাক্যের ব্যবধান ব্যবহার করত। এটা ছিল ফরাসি ব্যবধান – একটি নাম যা বিংশ শতাব্দীর শেষ দিক পর্যন্ত একক-ব্যবধান এর সমার্থক ছিল।[২] উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে টাইপরাইটার ব্যবহারের সূচনার মধ্য দিয়ে, মুদ্রাক্ষরিকরা গতানুগতিক ছাপাখানার অক্ষরস্থাপকদের অনুকরণ করে বাক্যের মাঝে দুইটি ব্যবধান ব্যবহার করত। [৩] বিংশ শতাব্দীর মাঝমাঝি সময়ে প্রশস্ত বাক্যের ব্যবধান ছাপাখানার বাণিজ্যে বিকাশ লাভ করলেও, মুদ্রাক্ষরিকরা আগের অভ্যাস চালিয়ে যান[৪] এবং পরবর্তী সময়ে কম্পিউটারেও।[৫] সম্ভবত এই কারণেই, অনেক আধুনিক সূত্র ভুল[৬] দাবি করে যে প্রশস্ত ব্যবধান তৈরি করা হয়েছিল টাইপরাইটারের জন্য।[৭]
আকাঙ্ক্ষিত বা সঠিক বাক্যের ব্যবধান নিয়ে প্রায়ই বিতর্ক হয় কিন্তু এখন অনেক সূত্রের মতে অতিরিক্ত ব্যবধানের প্রয়োজন নেই বা আকাঙ্ক্ষিত নয়। [৮] ১৯৫০ সাল দিকে, একক বাক্যের ব্যবধান বই, ম্যাগাজিন ও পত্রিকাতে আদর্শ হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়,[৯] এবং বেশিরভাগ রচনাশৈলী কৌশল যেগুলো লাতিন-উদ্ভূত বর্ণমালাকে ব্যবহার করে ভাষার ভিত্তি হিসেবে সেগুলো এখন বিহিত করে বা সুপারিশ করে বাক্যের সমাপ্তিসূচক বিরাম চিহ্নের পর একক ব্যবধান ব্যবহার করাকে। [১০] যদিও, কিছু সূত্র এখনো বলে যে অতিরিক্ত ব্যবধান ঠিক ও গ্রহণযোগ্য। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে এ নিয়ে বিতর্ক চালু আছে।[৬] অনেক মানুষ দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধান পছন্দ করে অনানুষ্ঠানিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কারণ তাদের সেভাবেই টাইপ করতে শেখানো হয়েছে। [১১] কোন সাজানোটি বেশি পাঠযোগ্য এই নিয়ে একটি বিতর্ক আছে; সাম্প্রতিক সময়ে ২০০২ সাল থেকে কিছু সরাসরি গবেষণা করা হলেও সেগুলো অমীমাংসিত ফলাফল প্রদান করেছে।[১২]
উপরে: বাক্যের মাঝে কমপক্ষে em-ব্যবধান সংবলিত প্রশস্ত ব্যবধানের বাক্যের ছাপাখানার অক্ষরবিন্যাসের লেখা (১৯০৯). নিচে: ফরাসি ব্যবধানের ছাপাখানার অক্ষরবিন্যাসের লেখা (১৮৭৪)
স্থানান্তর উপযোগী ছাপা আবিষ্কারের কিছুদিন পর থেকে, বহু-পরিবর্তনশীল ব্যবধান ব্যবস্থা তৈরি করা হয় যা যেকোনো মাপের ব্যবধান তৈরি করতে পারে, এবং পুরোপুরি সমানভাবে প্রতিপাদনের অনুমতিপ্রাপ্ত ছিল।[১৩] প্রথমদিকের আমেরিকান, ইংলিশ এবং অন্যান্য ইউরোপিয়ান ছাপাখানার অক্ষরস্থাপকগুলোর রচনাশৈলী কৌশল (ছাপাখানার নিয়মাবলী হিসেবেও পরিচিত) ব্যবধানের আদর্শ মানগুলো নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল সেগুলো অষ্টাদশ শতাব্দীর পর থেকে বলতে গেলে প্রায় একই ধরনের। এই কৌশলগুলো- যেমনঃ Jacobi in the UK (১৯৮০)[১৪] এবং MacKellar, Harpel, and De Vinne (১৮৬৬–১৯০১) আমেরিকাতে[১৫]— দেখায় যে বাক্যগুলো হতে হবে এম-ব্যবধানের, এবং শব্দগুলোর হতে হবে ১/৩ বা ১/২ এম-ব্যবধানের। বাক্যের ব্যবধানের আপেক্ষিক মাপ শব্দ ব্যবধানের মাপ এবং সমানভাবে প্রতিপাদনের চাহিদার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।[১৬] বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রে, বিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত প্রকাশিত কাজের জন্য এটাই ছিল আদর্শ।.[১৭] তবুও, এই সময়কালেও, এমন প্রকাশনা সংস্থাও ছিল (বিশেষ করে ফ্রান্সে) যারা বাক্যের মাঝে ব্যবহার করত একটি আদর্শ শব্দ ব্যবধানের মাপ – যাকে বলা হত ফরাসি ব্যবধান।
যান্ত্রিক ছাপা এবং টাইপরাইটারের আবির্ভাব
যান্ত্রিক ছাপার ব্যবস্থাগুলো উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে চালু হয়, যেমন লিনোটাইপ এবং মোনোটাইপ যন্ত্র, যেগুলোতে হাতের অক্ষরবিন্যাসের মত কিছু পরিবর্তনশীল বাক্যের ব্যবধান করা যেত।[১৮] যখনই এই যন্ত্রগুলো ছাপার ব্যাপক উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে, প্রায় সেই একই সময়ে টাইপরাইটারের আবির্ভাব ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক নথিপত্রের তৈরিতে আনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। কিন্তু টাইপরাইটারের যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতার কারণে পরিবর্তনশীল ব্যবধানের সুযোগ ছিল না-মুদ্রাক্ষরিকরা শুধুমাত্র কতবার ফাঁকা চাবি চাপবেন তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। কিছু ইংরেজি-ভাষাভাষী দেশের মুদ্রাক্ষরিকরা প্রাথমিক ভাবে বাক্যের মাঝে তিনটি ব্যবধান দিতে শিখেছিল[১৯] গতানুগতিক ছাপার প্রশস্ত বাক্যের ব্যবধানের সাথে মিলিয়ে রাখতে, কিন্তু পরে তারা এটিকে দুইটি ব্যবধান হিসেবে স্থির করে,[২০] এই রীতি বিংশ শতাব্দীর পুরোটা সময় চালু ছিল।[৩] এটি ইংলিশ ব্যবধান হিসেবে পরিচিত ছিল, এবং ফরাসি মুদ্রাক্ষরিকদের থেকে আলাদা হিসেবে চিহ্নিত হয়, যাঁরা ফরাসি ব্যবধান ব্যবহার করা অব্যাহত রাখে।[২১]
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, কিছু ছাপাখানা বাক্যগুলো আলাদা করতে দেড় শব্দ মধ্যবর্তী ব্যবধান (একটি “en quad“) ব্যবহার শুরু করে।[২২] কিছু কিছু ক্ষেত্রে, ১৯৯০ এর দিকেও, এই রীতি ব্যবহার চালু থাকে।[২৩]
১৯৪০ এর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাগাজিন, পত্রিকা, এবং বইতে একক ব্যবধানের রীতি ব্যবহার করা শুরু হয় এবং ১৯৫০ এর দিকে যুক্তরাজ্যেও তা চালু হয়।[২৪] মুদ্রাক্ষরিকরা এর সাথে সাথে একক ব্যবধান ব্যবহার করা শুরু করে না।.একজন সাধারণ লেখক তখনও লেখার জন্য টাইপরাইটারের উপর নির্ভর করত—যাতে ছিল ব্যবধানের যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা।
প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বাক্যের ব্যবধানের কৌশলগুলোকে প্রভাবিত করা শুরু করে। ১৯৪১ সালে, IBM চালু করে এক্সেকিউটিভ, এমন এক টাইপরাইটার যা সমানুপাতিক ব্যবধান তৈরি করতে পারে[২৫]—যেটি পেশাদারী ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের জন্য শত শত বছর ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এই নবপ্রবর্তিত বস্তু টাইপরাইটারের উপর মোনোস্পেসড ফন্টের যে দখল ছিল তা ভেঙ্গে ফেলে— এটির যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতার প্রখরতা কমিয়ে ফেলার মাধ্যমে।[২৫] ১৯৬০ এর মধ্যে, বৈদ্যুতিক ছবি-অক্ষরস্থাপন কৌশলগুলো লেখার মাঝে সাদা ব্যবধান রাখাকে উপেক্ষা করা শুরু করে।[৬]ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর ক্ষেত্রেও এটি সত্যি,যেহেতু এইচটিএমএল সাধারণভাবে অতিরিক্ত ব্যবধান উপেক্ষা করে,[২৬][২৭] যদিও ২০১১ সালে সিএসএস 2.1 মানদণ্ড আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বিকল্প যোগ করে যেটি অতিরিক্ত ব্যবধান অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে।[২৮] ১৯৮০ এর দিকে, ডেস্কটপ প্রকাশনী সফটওয়্যার সাধারণ লেখকদের জন্য আরো উন্নত বিন্যাস সরঞ্জাম সরবরাহ করে।[২৯] বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকের মধ্যে, লেখার শব্দের সাহিত্য এটির বাক্যের ব্যবধানের নির্দেশিকা সমন্বয় করা শুরু করে দেয়।
আধুনিক সাহিত্য
ছাপাখানার বিদ্যা
ইংরেজি প্রকাশনা সংস্থাগুলিতে ছাপাখানার বিদ্যার ( লেখার বিন্যাস ও আকৃতি )[৩০] প্রারম্ভিক অবস্থানে গতানুগতিগ ব্যবধান কৌশলগুলি অনুমোদিত ছিল। ১৯৫৪ সালে, জিওফ্রি ডডিং এর বইয়ে, ফাইনার পয়েন্টসইন দা স্পেসিং অ্যান্ড এরেঞ্জমেন্ট অফ টাইপ , একক প্রশস্ত এম ব্যবধান থেকে বাক্যের মাঝে আদর্শ শব্দ ব্যবধান ব্যবহারের যে ব্যাপক চলন শুরু হয় তাতে গুরুত্ব আরোপ করেছেন।[৩১]
কম্পিউটার যুগের আবির্ভাবের মাধ্যমে, ছাপাখানার বিদ্যায় বিশারদরা দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হওয়া শুরু করেন, এমনকি মোনোস্পেসড লেখার ক্ষেত্রেও। ১৯৮৯ সালে. ডিজাইন এরডেস্কটপ পাবলিশিং এ বলা হয় “ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন এর জন্য দাড়ি, প্রশ্নবোধক, আশ্চর্যবোধক, কোলন চিহ্নের পর শুধুমাত্র একটি ব্যবধান প্রয়োজন”, এবং একক বাক্যের ব্যবধানকে ছাপার কৌশল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[৩২]স্টপ স্টিলিং সীপ অ্যান্ড ফাইন্ড আউট হাও টাইপ ওয়ার্কস (১৯৯৩) এবং ডিজাইনিং উইথ টাইপঃ দা এসেনশিয়াল গাইড টু টাইপোগ্রাফি (২০০৬) উভয়ই শব্দের মাঝে অভিন্ন ব্যবধান ব্যবহার করতে নির্দেশ করে, এমনকি বাক্যের মাঝেও।[৩৩]
ছাপাখানার বিদ্যার উপর করা সাম্প্রতিক কাজগুলো অনেক গুরুত্বের। ইলিন স্ট্রিজভার, টাইপ স্টুডিও এর প্রতিষ্ঠাতা, বলেন, “মতামতের পার্থক্য সহ্য করার কথা ভুলে যান, বাক্য শুরু করার আগে দুইটি ব্যবধান দেওয়া পুরোপুরি, দ্ব্যর্থহীনভাবে ভুল।”[১১]কমপ্লিট ম্যানুয়াল অন টাইপোগ্রাফি (২০০৩) এ বলা হয় “টাইপরাইটারের দাড়ির পর দুই শব্দ ব্যবধান ব্যবহার করে বাক্য আলাদা করার প্রক্রিয়ার ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনে কোনো জায়গা নেই” এবং একক ব্যবধান হল “আদর্শ ছাপার কৌশল”।[৩৪]এলিমেন্টস অফ টাইপোগ্রাফিক স্টাইল (২০০৪) পরামর্শ দেয় বাক্যের মাঝে একটি ব্যবধান দেবার, এমন কোনো কিছু নয় যা ” আপনার ছাপার কাজ ও এর সাথে ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন লাভবান হবে এই অদ্ভুত [দ্বিগুণ ব্যবধান] ভিক্টোরিয়ান অভ্যাস ভুলে গেলে”। [৩]
ডেভিড জুরির বই, এবাউট ফেইসঃ রিভাইভিং দা রুলস অফ টাইপোগ্রাফি (২০০৪)- সুইজারল্যান্ডে প্রকাশিত- বাক্যের ব্যবধানের ব্যাপারে সমসাময়িক ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের অবস্থান পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করেঃ
শব্দ ব্যবধান, বিরামচিহ্নের আগে বা পরে, এমনভাবে বিন্যস্ত করতে হবে যাতে দৃশ্যত মনে হয় তা আদর্শ শব্দ ব্যবধানের সমান। যদি একটি দাড়ি বা কমার পর একটি আদর্শ শব্দ ব্যবধান দেওয়া হয়, তাহলে, দৃশ্যত, সেটি ছাপার বাক্যের অন্য যেকোনো শব্দ ব্যবধান থেকে ৫০% পর্যন্ত বেশি প্রশস্ত ব্যবধান তৈরি করে। এটা হয় কারণ এই বিরামচিহ্নগুলো তাদের উপরে ব্যবধান বহন করে, যেটি, যখন পার্শ্ববর্তী আদর্শ শব্দ ব্যবধানের সাথে যোগ করা হয়, সম্মিলিতভাবে দৃশ্যত আরও বড় ব্যবধান তৈরি করে। অনেকে দ্বিমত পোষণ করে বলেন যে কমা এবং দাড়ির পর “অতিরিক্ত” ব্যবধান পাঠকের জন্য “বিরতি সংকেত” হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এটি অপ্রয়োজনীয় (এবং দৃষ্টিকটু) কেননা বিরামচিহ্ন নিজেই বিরতি সংকেতের কাজ করে।[৩৫]
শুরুর দিকে ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের শৈলী নির্দেশিকাগুলোতে শব্দের মাঝের “গতানুগতিক ব্যবধান” এর থেকে প্রশস্ত ব্যবধান বাক্যের মাঝে ব্যবহার করা হত, ডানের ছবিতে যেমনটি দেখান হল।[৩৬] বিংশ শতাব্দীর সময়, শৈলী নির্দেশিকাগুলো সাধারণভাবে মুদ্রলিখিত পান্ডুলিপিতে বাক্যের মাঝে দুইটি ব্যবধান দেওয়াকে বাধ্যতামূলক করে,যেগুলো পেশাগতভাবে ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের কাজের আগে ব্যবহৃত হত।[৩৭] ডেস্কটপ প্রকাশনা যখন প্রচলন শুরু হল, মুদ্রলিখিত পাণ্ডুলিপি হয়ে পড়ল আরও কম প্রাসঙ্গিক এবং বেশিরভাগ শৈলী নির্দেশিকাগুলো পাণ্ডুলিপি ও চূড়ান্ত ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের পণ্যের মাঝে পার্থক্য করা বন্ধ করে।[৩৮] একই সময়কালে, শৈলী নির্দেশিকাগুলো বাক্যের ব্যবধান সম্পর্কে তাদের নির্দেশনা বদলাতে শুরু করে। শিকাগো ম্যানুয়াল অফ স্টাইল এর ১৯৬৯ এর সংস্করণে বাক্যের মাঝে এম ব্যবধান ব্যবহার করা হয়;[৩৯] ২০০৩ এর সংস্করণে পাণ্ডুলিপি ও ছাপা উভয়ের জন্য তা পরিবর্তিত হয়ে একক ব্যবধান হয়। ১৯৮০ এর মধ্যে, যুক্তরাজ্যের হার্টস রুলস (১৯৮৩)[৪০] একক ব্যবধানে সরে আসে। অন্য শৈলী নির্দেশিকাগুলোও ১৯৯০ এর দিকে তা অনুসরণ করে।[৪১] একবিংশ শতাব্দী শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই, বেশিরভাগ শৈলী নির্দেশিকাগুলো বদলে গিয়ে নির্দেশ করে যে বাক্যের মাঝে শুধুমাত্র একটি শব্দ ব্যবধানই যথাযথ।[৪২]
আধুনিক শৈলী নির্দেশিকাগুলো লিখিত ভাষার আদর্শ মান এবং নির্দেশনা সরবরাহ করে। লেখকদের জন্য এই কাজগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারণ “কার্যত সব পেশাদার সম্পাদকরা প্রকাশনার জন্য একটি পাণ্ডুলিপি সম্পাদনার তাদের কোনো একটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন”।[৪৩] ব্যাপক শৈলী নির্দেশিকাগুলোর শেষের দিকের সংস্করণগুলোতে, যেমনঃ যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ড স্টাইল ম্যানুয়াল (২০০৩)[৪৪] এবং যুক্তরাজ্যে দা শিকাগো ম্যানুয়াল অফ স্টাইল (২০১০)[৪৫], বাক্যের ব্যবধানসহ অনেক ধরনের লেখা ও নকশার বিষয়ে আদর্শ মান সরবরাহ করে।[৪৬] চূড়ান্ত লেখা ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ শৈলী নির্দেশিকাগুলো এখন চূড়ান্ত বিরামচিহ্নের পর একক ব্যবধান ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়।[৪২] কিছু শৈলী নির্দেশিকা খসড়া কাজে দ্বিগুণ ব্যবধান অনুমোদন করে, এবং গ্রেগ রেফারেন্স ম্যানুয়াল লেখকের ইচ্ছার উপর দ্বিগুণ ও একক ব্যবধানের ব্যাপারটি ছেড়ে দেয়।[৪৭] ওয়েব নকশা নির্দেশিকাগুলো সাধারণত এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয় না, যেহেতু “এইচটিএমএল দ্বিগুণ ব্যবধানকে স্বীকৃতি দিতে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে”।[৪৮] এই কাজগুলো নিজেরা বর্তমান প্রকাশনার আদর্শ মান একক ব্যবধান অনুসরণ করে।[৪৯]
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নেরইন্টারন্যাশনাল স্টাইল গাইড (২০০৮) এ উল্লেখ করা হয় যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৩ টি ভাষার সকল প্রকাশনায় একক বাক্যের ব্যবধান ব্যবহার করা হবে।[৫০] ইংরেজি ভাষার জন্য, ইউরোপিয়ান কমিশনেরইংলিশ স্টাইল গাইডে (২০১০) বলা হয় যে বাক্যগুলো সব সময় একক ব্যবধানের হবে।[৫১]স্টাইল ম্যানুয়ালঃ ফর অথারস, এডিটরস অ্যান্ড প্রিন্টারস (২০০৭), যেটি ১৯৬৬ সালে কমনওয়েলথ গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং অফিস অফ অস্ট্রেলিয়া দ্বারা প্রথম প্রকাশিত হয়, একক ব্যবধান ব্যবহারের শর্ত দেয় যে “বাক্য সমাপ্তকারি বিরামচিহ্নের” পরে এবং যেহেতু “শব্দ প্রক্রিয়াকরণের প্রোগ্রামগুলো ও ডেস্কটপ প্রকাশনা আরো পরিশীলিত, পরিবর্তনশীল ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন প্রদান করে, তাই দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহারের এই রীতি এখন পরিহার করা হয় কারণ এটি পাতার মাঝে বিভ্রান্তিমূলক ব্যবধান তৈরি করে।”[৫২]
জাতীয় ভাষাগুলো যেগুলো কোনো প্রামাণিক ভাষা একাডেমী এর অন্তর্ভুক্ত নয় সাধারণত সেগুলোর একাধিক শৈলী নির্দেশিকা থাকে-যাদের মধ্যে মাত্র কয়েকটি বাক্যের ব্যবধান নিয়ে আলোচনা করতে পারে। যুক্তরাজ্যে এমনটিই হয়। অক্সফোর্ড স্টাইল ম্যানুয়াল (২০০৩) এবং মডার্ন হিউম্যানিটিস রিসার্চ এসোসিয়েশন এর এমএইচআরএ স্টাইল গাইড (২০০২)-তে বলা হয়েছে শুধুমাত্র একক ব্যবধান ব্যবহার করা যাবে।[৫৩] কানাডাতে, কানাডিয়ান স্টাইল, এ গাইড টু রাইটিং অ্যান্ড এডিটিং (১৯৯৭) এর ইংরেজি ও ফরাসি ভাষা উভয় বিভাগে, একক বাক্যের ব্যবধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।[৫৪] যুক্তরাষ্ট্রে, বহু শৈলী নির্দেশিকা- যেমন শিকাগো ম্যানুয়াল অফ স্টাইল (২০০৩)- শুধুমাত্র একক ব্যবধান অনুমোদন করে।[৫৫] ইতালির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শৈলী নির্দেশিকা, ইলা নুয়াভো মানুয়ালে দি স্তিলে (২০০৯)[৫৬]-এ বাক্যের ব্যবধানের কোনো উল্লেখ নেই, কিন্তু মাইক্রোসফট অনুবাদের আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা,গুইদা দি স্তিলে ইতালিয়ানো (২০১০)-তে ব্যবহারকারীদের “যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত দ্বিগুণ ব্যবধানের বদলে” একক বাক্যের ব্যবধান ব্যবহার করতে বলা হয়।[৫৭]
ভাষা নির্দেশিকা
কিছু ভাষা, যেমন ফরাসি এবংস্প্যানিশ ভাষাতে ভাষার নিয়ম নির্ধারণের জন্য একাডেমী আছে। তাদের প্রকাশনা সাধারণত ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন বিদ্যার বিষয়গুলোর বদলে লিখনবিধি এবং ব্যাকরণের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে। এধরনের ভাষাগুলোর জন্য শৈলী নির্দেশিকাগুলো কম প্রাসঙ্গিক, যেহেতু তাদের একাডেমীগুলো বিধানবাদ ঠিক করে। উদাহরণস্বরূপ, আকাদেমি ফ্রঁসেজ বিশ্বব্যাপী ফরাসি ভাষাভাষীদের জন্য দিকসিওনের দ্য লাকাদেমি ফ্রঁসেজ প্রকাশ করে।[৫৮] ১৯৯২ সালের সংস্করণে বাক্যের ব্যবধানের উপর কোনো নির্দেশনা দেওয়া নাই, কিন্তু পুরোপুরি একক বাক্যের ব্যবধান সংবলিত-যা ঐতিহাসিক ফরাসি ব্যবধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। স্প্যানিশ ভাষা একই রকম। এসোসিয়েশন অফ স্প্যানিশ ল্যাঙ্গুয়েজ একাডেমীস এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ, রিয়েল একাডেমিয়া এসপানিওলা, প্রকাশ করে ডিকশনারিও দে লা লেঙ্গুয়াএসপানিওলা, যেটিকে বিশ্বব্যাপী স্প্যানিশ ভাষার প্রচলিত প্রথামত হিসেবে দেখা হয়।[৫৯] ২০০১ সালের সংস্করণে বাক্যের ব্যবধানের উপর কোনো নির্দেশনা দেওয়া নাই, কিন্তু এটি একক বাক্যের ব্যবধানে ছাপা। জার্মান ভাষা নির্দেশিকা এমফিলুনগেন দেস রাটস ফ্রু দোএতচে রেক্তসায়বুং (“কাউন্সিল ফর জার্মান ওরথোগ্র্যাফি কর্তৃক সুপারিশকৃত”) (২০০৬)-তে বাক্যের ব্যবধানের উল্লেখ নাই।[৬০] ম্যানুয়ালটিতে চূড়ান্ত বিরামচিহ্নের পরে একক ব্যবধান ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া, ডুডেন, জার্মানিতে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত জার্মান ভাষার অভিধান,[৬১] নির্দেশ করে যে দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধান একটি ত্রুটি।[৬২]
ব্যাকরণ নির্দেশিকা
কতিপয় তথ্যসূত্রের ব্যাকরণ বাক্যের ব্যবধানের কথা উল্লেখ করে, যেহেতু শব্দের মাঝে বর্ধিত ব্যবধান নিজের মাঝে বিরামচিহ্নের মত।[৬৩] বেশিরভাগই করে না। ব্যাকরণ নির্দেশিকাগুলো সাধারণত চূড়ান্ত বিরামচিহ্ন এবং সঠিক বাক্য গঠনের বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করে-কিন্তু বাক্যের মাঝের ব্যবধান সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে না।[৬৪] তাছাড়া, বহু আধুনিক ব্যাকরণ নির্দেশিকা দ্রুত তথ্যসূত্র পাবার মত করে তৈরি করা হয়েছে[৬৫] এবং লেখার শৈলীর অতিরিক্ত বিষয়গুলোর জন্য ব্যবহারকারীদের ব্যাপক শৈলী নির্দেশিকা ব্যবহারের পরামর্শ দেয়।[৬৬] উদাহরণস্বরূপ,পকেট ইডিয়টস গাইড টু গ্রামার অ্যান্ড পাঙ্কচুয়েসন (২০০৫) বিন্যাস কাজে ধারাবাহিকতা ও অন্যান্য “সম্পাদনা সম্পর্কিত বিষয়গুলোর” জন্য ব্যবহারকারীদের এম এলএ স্টাইল ম্যানুয়াল এর মত শৈলী নির্দেশিকাগুলো ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়।[৬৭]গ্রামার বাইবেল (২০০৪) -এ বলা হয় “ইংরেজি বিরামচিহ্নের আধুনিক ব্যবস্থা কোনোভাবেই সহজ নয়। একটি বই যদি সকল বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় তবে এটিকে হতে হবে বিশাল আকৃতির এবং যিনি এধরনের কিছু চাচ্ছেন তাঁকে শিকাগো ম্যানুয়াল অফ স্টাইল দেখার পরামর্শ দেওয়া হল।”[৬৮]
কম্পিউটারের যুগে, বিভিন্ন সফটওয়্যারের প্যাকেজে বাক্যের মাঝের ব্যবধানকে বিভিন্নভাবে পরিচালনা করা হয়। কিছু পদ্ধতি যা ব্যবহারকারী লিখে তাই অনুমোদন করে, যখন অন্যগুলো ব্যবধান পরিবর্তন করার চেষ্টা করে, বা ব্যবহারকারীর নিবেশকে বাক্য শনাক্ত করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। কম্পিউটার ভিত্তিক শব্দ প্রক্রিয়াকারকগুলো, এবং ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনেরসফটওয়্যার যেমনঃ ট্রফ ওটেক্স, ব্যবহারকারীদের এমনভাবে লেখা সাজাবার সুযোগ করে দেয় যা আগে শুধুমাত্র পেশাদার অক্ষরস্থাপকগুলো করতে পারত।[৬৯]
ইমাক্স এর লেখা সম্পাদনার পরিবেশ স্পষ্টভাবে বাক্যের সমাপ্তি বুঝতে দাড়ির পর দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহার করে, দ্বিগুণ ব্যবধানের এই প্রক্রিয়া বাক্যের মাঝের সেইসব দাড়ির সাথে ভুল বোঝাবুঝি রোধ করে যেগুলো দিয়ে শব্দের সংক্ষিপ্তরূপ প্রকাশ পায়। ইমাক্স কিভাবে বাক্যের সমাপ্তি বুঝতে পারবে তা নিয়ন্ত্রণ করে যে বিন্যাসটি সেটি হল সেন্টেন্স-এন্ড-ডাবল-স্পেস অ্যান্ড সেন্টেন্স-এন্ড .[৭০] The ভিআই সম্পাদকও এই কৌশল অনুসরণ করে; ফলে, ইমাক্স ও ভিআই উভয়ের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাক্য নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলকভাবে সহজ হয় (জাম্প ওভার, কপি, ডিলিট)।
ইউনিক্স ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের প্রোগ্রাম ট্রফ বাক্যের শেষ চিহ্নিত করতে দুইটি ব্যবধান ব্যবহার করে।[৭১] এটি ছাপাখানার অক্ষরস্থাপককে শব্দের সংক্ষিপ্তরূপ থেকে বাক্যের সমাপ্তিকে পার্থক্য করার এবং আলাদাভাবে অক্ষরস্থাপনের সুযোগ করে দেয়। ট্রফের শুরুর দিকের সংস্করণগুলোতে,[৭২] শুধুমাত্র নির্দিষ্ট প্রস্থের ফন্ট অক্ষরস্থাপনে ব্যবহার করত, যেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাক্যের মাঝে দ্বিতীয় একটি ব্যবধান যোগ করে দিত, যেগুলো চূড়ান্ত বিরামচিহ্নের মিশ্রণ ও লাইন ফিড উপর নির্ভর করে শনাক্ত করা হত।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড নিজে থেকে বাক্যকে পরিবর্তন করে না, কিন্তু গ্রামার চেকিং এমনভাবে ঠিক করা যায় যাতে বাক্যের মাঝে নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যবধান থাকে।
ল্যাটেক দাড়ির পর একটি “বাক্য-মধ্যবর্তী” অক্ষরস্থাপন করে যদিনা অন্য নির্দেশনা দেওয়া থাকে। এটি একটি পরিবর্তনশীল ব্যবধান যা সাধারণত “শব্দ-মধ্যবর্তী ব্যবধান” থেকে প্রশস্ত হয়।
অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস সহ, কিছু আধুনিক টাচ-স্ক্রিন যন্ত্রে, পর পর দুইটি ব্যবধান দেওয়া হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাক্যের সমাপ্তি হিসেবে মনে করা হয়, এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি দাড়ি প্রবেশ করানো হয়। যদিও, শুধুমাত্র একটি ব্যবধান অক্ষুণ্ণ থাকে।
একাধিক ব্যবধান বেশিরভাগ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উপাদানে নিজে থেকে অপসারণ করা হয়, সেটি বাক্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত হোক বা নাই হোক তা সরিয়ে ফেলা হয়। ব্যবধান সংরক্ষণের উপায়ও আছে, যেমনঃ সিএসএস হোয়াইট-স্পেস প্রোপার্টি, ও <pre> ট্যাগ। টুইটার তাদের ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত ব্যবধানের নিবেশ সংরক্ষণ করে। এইচটিএমএল-এ আরও কয়েকটি ব্যবধান তৈরির প্রক্রিয়া আছে যাতে ব্যবধান অক্ষুণ্ণ থাকে, যেমনঃ এম ব্যবধান, এন ব্যবধান, ও নন-ব্রেকিং ব্যবধান. কিছু ইউনিকোড ব্যবধান অক্ষরও ওয়েবে অক্ষুণ্ণ থাকে।
বাক্যের ব্যবধান(Sentence spacing)
বিতর্ক
জেমস ফেলিসি, কমপ্লিট ম্যানুয়াল অফ টাইপোগ্রাফি এর লেখক, বলেন যে বাক্যের ব্যবধানের বিষয়টি হল “এমন একটি বিতর্ক যা শেষ হতে অস্বীকৃতি জানায় … আমার ছাপার ব্যাপারে লেখার এত বছরে, এই প্রশ্নটি আমি সবচেয়ে বেশি শুনি, এবং ওয়েবে খুঁজলে এই বিষয়ে প্রচুর লেখা পাওয়া যাবে”।[৬] এই বিষয়টি নিয়ে আজ পর্যন্ত অনেক বিতর্ক আছে।
অনেক মানুষ বিভিন্ন কারণে একক বাক্যের ব্যবধানের বিরোধিতা করে। অনেকে বলেন যে দ্বিগুণ ব্যবধানের অভ্যাস এতটা গভীরভাবে বদ্ধমূল যে বদলান সম্ভব না।[৭৩] অন্যেরা দাবি করেন যে বাক্যের মাঝে অতিরিক্ত ব্যবধান লেখার সৌন্দর্য ও পাঠযোগ্যতা বৃদ্ধি করে।[৭৪] দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের প্রবক্তারা আরো বলেন যে কিছু প্রকাশক লেখকদের দ্বিগুণ-ব্যবধানের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে বলতে পারেন। একটি প্রধান উদাহরণ হল চিত্রনাট্যের পাণ্ডুলিপি লেখার জন্য চিত্রনাট্য লেখার শিল্পের মোনোস্পেসড এর আদর্শ মান, কুরিয়ার, ১২-পয়েন্ট ফন্ট,[৭৫] যদিও চিত্রনাট্য লেখার উপর করা কিছু কাজ নির্দেশ করে যে কুরিয়ার খুব কমই পছন্দের—সমানুপাতিক ফন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।[৭৬] কিছু বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের মতে লেখকদের তাদের নিজস্ব শৈলী নির্দেশিকা অনুসরণ করা উচিত, কিন্তু দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের প্রবক্তারা বলেন যে প্রকাশকের নির্দেশিকা প্রাধান্য পায়, এমনকি তারাও যারা দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের পাণ্ডুলিপি চায়।[৭৭]
প্রশস্ত বাক্যের ব্যবধানের বিরুদ্ধে জনপ্রিয় একটি যুক্তি হল যে এটি তৈরি করা হয়েছিল টাইপরাইটারের মোনোস্পেসড ফন্টের জন্য, এবং আধুনিক সমানুপাতিক ফন্টের জন্য তার আর কোনো প্রয়োজন নেই। [৭৮] যদিও, টাইপরাইটার আবিষ্কারের আগে সমানুপাতিক ফন্ট প্রশস্ত বাক্যের ব্যবধানের সাথে শত শত বছর একসাথে ছিল, এবং আবিষ্কারের পরও কয়েক যুগ ছিল। যখন টাইপরাইটার প্রথম আসে, মুদ্রাক্ষরিকদের সাধারণত বাক্যের মাঝে তিনটি ব্যবধান ব্যবহার করতে শেখানো হত।[১৯] এটি ক্রমান্বয়ে বদলে দুইটি ব্যবধান হয়, যখন প্রকাশনা শিল্প অপরিবর্তিত থাকে তাদের প্রশস্ত এম-ব্যবধানের বাক্যে। কিছু সূত্রের মতে এখন মোনোস্পেসড ফন্টকে একক ব্যবধান করা গ্রহণযোগ্য,[৭৯] যদিও অন্যান্য সূত্র মোনোস্পেসড ফন্টের জন্য এখনো দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহার করতে বলে।[৮০] টাইপরাইটারের দ্বিগুণ ব্যবধানের কৌশলটি বিদ্যালয়ের মুদ্রাক্ষর শ্রেণিতে শেখানো হয়, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটিই অভ্যাস করা হয়।।[১১] কিছু মানুষ মনে করেন যে শিক্ষার্থীদের পরবর্তীতে এই কাজটি পুনরায় শিখতে বাধ্য করা হবে।[৮১]
বেশিরভাগ শৈলী নির্দেশিকা নির্দেশ করে যে একক বাক্যের ব্যবধান আজ চূড়ান্ত বা প্রকাশিত কাজের জন্য যথার্থ,[৪২] এবং বেশিরভাগ প্রকাশক পাণ্ডুলিপি সেভাবে চান প্রকাশনায় যেভাবে থাকবে—েএকক বাক্যের ব্যবধান সংবলিত।[৮২] লেখালিখির সূত্রগুলো সাধারণত পরামর্শ দেয় যে সম্ভাব্য লেখকরা যেন পাণ্ডুলিপি জমা দেওয়ার পূর্বে অতিরিক্ত ব্যবধান সরিয়ে ফেলে,[৮৩] যদিও অন্যান্য সূত্রের মতে প্রকাশকরা চূড়ান্ত প্রকাশনার আগে সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্যবধান সরিয়ে ফেলবে।[৮৪]
কেতাবি প্রকাশনার ক্ষেত্রে, এলসেভিয়ার ফরাসি ব্যবধান ব্যবহার করে কিন্তু স্প্রিঙ্গার বাক্যের মাঝে শব্দের মাঝের ব্যবধানের চেয়ে প্রশস্ত ব্যবধান ব্যবহার করে।
একক ও দ্বিগুণ ব্যবধান প্রক্রিয়ার সহজপাঠ্যতা ও পাঠযোগ্যতার ব্যাপারে প্রচুর যুক্তি আছে—দুইদিকের প্রবক্তাদের দ্বারাই। একক ব্যবধানের সমর্থকরা দাবি করেন যে বর্তমানে বই, ম্যাগাজিন, ও ওয়েবে প্রচলিত আদর্শ মানের সাথে মিল পাঠযোগ্যতা বৃদ্ধি করে, সমানুপাতিক ফন্টের লেখায় দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহার করলে তা অদ্ভুত দেখায়, এবং দ্বিগুণ ব্যবধানের কারণে তৈরি হওয়া “রিভারস” ও “হোলস” পাঠযোগ্যতার ক্ষতিসাধন করে।[৮৫] দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের প্রবক্তরা বলেন যে অতিরিক্ত ব্যবধান বাক্যের মাঝে পরিষ্কার বিরতি বুঝিয়ে পাঠযোগ্যতা বৃদ্ধি করে এবং লেখাকে আরো সহজপাঠ্য করে,[৮৬] দাড়ি ও কমার মাঝে দৃশ্যত যে সামান্য পার্থক্য আছে তা উল্লেখ করে।
যদিও, ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন সম্পর্কিত মতামতগুলো সাধারণত প্রমাণবহির্ভূত হয়ে থাকে।[৮৭] ” মতামতগুলো সব সময় ছাপার সহজপাঠ্যতার জন্য নিরাপদ নির্দেশিকা নয়,”[৮৮] এবং যখন সরাসরি গবেষণা করা হয়, ভিত্তিহীন মতামত—এমনকি বিশেষজ্ঞদের—ভুল প্রমাণিত হতে পারে।[৮৯] লেখা যেটি মনে হয় সহজপাঠ্য (প্রথম দৃষ্টিতে দৃশ্যত আনন্দদায়ক) সেটি কার্যকর পাঠের ক্ষতিসাধন করে বলে প্রমাণ হতে পারে যখন এটির উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণা করা হয়।[৯০]
গবেষণা
বাক্যের ব্যবধানের উপর করা গবেষণার মধ্যে আছে লোহ, ব্রাঞ্চ, সিওয়ানোঅন, ও আলি (২০০২); ক্লিনটন, ব্রাঞ্চ, হোলসু, ও সিওয়ানোঅন (২০০৩); এবং নি, ব্রাঞ্চ, ও সেন (২০০৪), যেগুলোর কোনটিই একক, দ্বিগুণ, কিংবা তিনগুণ ব্যবধানের পক্ষে ফলাফল দিতে পারে নাই।[৯১] ২০০২ সালের গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের একক ও দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের লেখা পড়ার গতি পরীক্ষা করা হয়। লেখকরা বলেন যে, ” ‘দ্বিগুণ ব্যবধানের দলটি’ ধারাবাহিকভাবে ‘একক ব্যবধানের দলটি’ থেকে বেশি সময় নিচ্ছিল শেষ করতে” কিন্তু সিদ্ধান্ত নেন যে ” সেখানে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আছে বলার মত পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রমাণ ছিল না”।[৯২] ২০০৩ ও ২০০৪ সালের গবেষণায় একক, দ্বিগুণ ও তিনগুণ ব্যবধানের উপর বিশ্লেষণ করা হয়। উভয় ক্ষেত্রে, লেখকরা বলেন যে একটি সিদ্ধান্তে আসার মত পর্যাপ্ত প্রমাণ ছিল না।[৯৩] নি, ব্রাঞ্চ, সেন ও ক্লিনটন ২০০৯ সালে অভিন্ন ব্যবধানের চলক দিয়ে একইরকম একটি গবেষণা করেন। লেখকরা সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে “ফলাফল বাক্যের মাঝে ভিন্ন ধরনের ব্যবধান সময় ও বুঝতে পারার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখে এই বিষয়ে অপর্যাপ্ত প্রমাণ সরবরাহ করে
উচ্চারণ (pronunciation) (সং. উৎ + √ চারি + অন) হল কথা বলার রীতি বা ভঙ্গী। নির্দিষ্ট কোন অঞ্চলের ভাষায় একটি শব্দ বা কথা বলার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত আওয়াজের যে (সম্মতি বা শর্তাধীনে অধিষ্ঠিত / agreed-upon) অনুক্রম বা পরম্পরা তাকে উচ্চারণ (“সঠিক উচ্চারণ”) বলা যেতে পারে অথবা কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি যেভাবে কথা বলেন সহজ কথায় তাই উচ্চারণ।
কোন শব্দের বানান ঐ শব্দকে নির্দেশ করলেও তা শব্দটির উচ্চারণকে নির্ধারণ করে না। বিতর্কিত বা ব্যাপকহারে ভুল উচ্চারিত শব্দসমূহের উচ্চারণ তাদের উৎস থেকে যাচাই করে নেওয়া হয়। যেমন:- সম্প্রতি গ্রাফিকস ইন্টারচেঞ্জ ফরমেটের (GIF) আবিষ্কারক Gifকে Jif উচ্চারণ করতে বলেছেন।[১]
শৈশবে সাংস্কৃতিক উন্মেষের ব্যপ্তিকাল, বক্তার বর্তমান আবাসস্থল, কন্ঠস্বর বা বাকযন্ত্রের অসঙ্গতি-অসুখ[২] , বক্তার সামাজিক শ্রেণী, নৃগোষ্ঠী কিংবা শিক্ষার[৩] ন্যায় বহু কারণভেদে দল বা ব্যক্তি বিশেষে একই শব্দ বিভিন্নভাবে বলা হয়ে থাকতে পারে।
স্বন বা বাগধ্বনি (Phone) হচ্ছে মানুেষর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত ধ্বনি। অক্ষরকে বাগধ্বনির এককরূপে গণ্য করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় এটি আলোচনা করা হয় তা হল ধ্বনিবিজ্ঞান (phonetics)। যে সব ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত একেকর মধ্যে পারস্পরিক স্বনিস্বীয় বা মূলধ্বনিগত বিরোধ থাকে সেই ধ্বনিগত এককগুলোর প্রতিটিই এক একটি স্বনিম (Phoneme)।[৪] সহজভাবে অর্থের পার্থক্য সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত এককই স্বনিম। যেমন:- কাল ও খাল শব্দদুটিতে শুধু ক এবং খ এর জন্য অর্থের পার্থক্য ঘটেছে। তাই ক ও খ এখানে স্বনিম। স্বন এবং স্বনিম স্বনিম-বিজ্ঞান (phonemics) বা ধ্বনিতত্ত্বে (phonology) আলোচনা করা হয়। সুস্পষ্ট উচ্চারণের অংশ হিসেবে বাগধ্বনিকে সচরাচর আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার (IPA) মাধ্যমে বর্ণনা তথা প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়।[৫]
স্বন বা বাগধ্বনি (Phone) হচ্ছে মানুেষর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত ধ্বনি। অক্ষরকে বাগধ্বনির এককরূপে গণ্য করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় এটি আলোচনা করা হয় তা হল ধ্বনিবিজ্ঞান (phonetics)। যে সব ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত একেকর মধ্যে পারস্পরিক স্বনিস্বীয় বা মূলধ্বনিগত বিরোধ থাকে সেই ধ্বনিগত এককগুলোর প্রতিটিই এক একটি স্বনিম (Phoneme)।[৪] সহজভাবে অর্থের পার্থক্য সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত এককই স্বনিম। যেমন:- কাল ও খাল শব্দদুটিতে শুধু ক এবং খ এর জন্য অর্থের পার্থক্য ঘটেছে। তাই ক ও খ এখানে স্বনিম। স্বন এবং স্বনিম স্বনিম-বিজ্ঞান (phonemics) বা ধ্বনিতত্ত্বে (phonology) আলোচনা করা হয়। সুস্পষ্ট উচ্চারণের অংশ হিসেবে বাগধ্বনিকে সচরাচর আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার (IPA) মাধ্যমে বর্ণনা তথা প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়।[৫]
ভাষাতাত্ত্বিক পরিভাষা
স্বন বা বাগধ্বনি (Phone) হচ্ছে মানুেষর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত ধ্বনি। অক্ষরকে বাগধ্বনির এককরূপে গণ্য করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় এটি আলোচনা করা হয় তা হল ধ্বনিবিজ্ঞান (phonetics)। যে সব ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত একেকর মধ্যে পারস্পরিক স্বনিস্বীয় বা মূলধ্বনিগত বিরোধ থাকে সেই ধ্বনিগত এককগুলোর প্রতিটিই এক একটি স্বনিম (Phoneme)।[৪] সহজভাবে অর্থের পার্থক্য সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত এককই স্বনিম। যেমন:- কাল ও খাল শব্দদুটিতে শুধু ক এবং খ এর জন্য অর্থের পার্থক্য ঘটেছে। তাই ক ও খ এখানে স্বনিম। স্বন এবং স্বনিম স্বনিম-বিজ্ঞান (phonemics) বা ধ্বনিতত্ত্বে (phonology) আলোচনা করা হয়। সুস্পষ্ট উচ্চারণের অংশ হিসেবে বাগধ্বনিকে সচরাচর আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার (IPA) মাধ্যমে বর্ণনা তথা প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়।
উচ্চারণ(pronunciation)
উচ্চারণ (সং. উৎ + √ চারি + অন) হল কথা বলার রীতি বা ভঙ্গী। নির্দিষ্ট কোন অঞ্চলের ভাষায় একটি শব্দ বা কথা বলার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত আওয়াজের যে (সম্মতি বা শর্তাধীনে অধিষ্ঠিত / agreed-upon) অনুক্রম বা পরম্পরা তাকে উচ্চারণ (“সঠিক উচ্চারণ”) বলা যেতে পারে অথবা কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি যেভাবে কথা বলেন সহজ কথায় তাই উচ্চারণ।
কোন শব্দের বানান ঐ শব্দকে নির্দেশ করলেও তা শব্দটির উচ্চারণকে নির্ধারণ করে না। বিতর্কিত বা ব্যাপকহারে ভুল উচ্চারিত শব্দসমূহের উচ্চারণ তাদের উৎস থেকে যাচাই করে নেওয়া হয়। যেমন:- সম্প্রতি গ্রাফিকস ইন্টারচেঞ্জ ফরমেটের (GIF) আবিষ্কারক Gifকে Jif উচ্চারণ করতে বলেছেন।[১]
শৈশবে সাংস্কৃতিক উন্মেষের ব্যপ্তিকাল, বক্তার বর্তমান আবাসস্থল, কন্ঠস্বর বা বাকযন্ত্রের অসঙ্গতি-অসুখ[২] , বক্তার সামাজিক শ্রেণী, নৃগোষ্ঠী কিংবা শিক্ষার[৩] ন্যায় বহু কারণভেদে দল বা ব্যক্তি বিশেষে একই শব্দ বিভিন্নভাবে বলা হয়ে থাকতে পারে।
স্বন বা বাগধ্বনি (Phone) হচ্ছে মানুেষর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত ধ্বনি। অক্ষরকে বাগধ্বনির এককরূপে গণ্য করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় এটি আলোচনা করা হয় তা হল ধ্বনিবিজ্ঞান (phonetics)। যে সব ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত একেকর মধ্যে পারস্পরিক স্বনিস্বীয় বা মূলধ্বনিগত বিরোধ থাকে সেই ধ্বনিগত এককগুলোর প্রতিটিই এক একটি স্বনিম (Phoneme)।[৪] সহজভাবে অর্থের পার্থক্য সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত এককই স্বনিম। যেমন:- কাল ও খাল শব্দদুটিতে শুধু ক এবং খ এর জন্য অর্থের পার্থক্য ঘটেছে। তাই ক ও খ এখানে স্বনিম। স্বন এবং স্বনিম স্বনিম-বিজ্ঞান (phonemics) বা ধ্বনিতত্ত্বে (phonology) আলোচনা করা হয়। সুস্পষ্ট উচ্চারণের অংশ হিসেবে বাগধ্বনিকে সচরাচর আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার (IPA) মাধ্যমে বর্ণনা তথা প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়।[৫]
পূরণবাচক/ক্রমবাচক সংখ্যা(Complementary Numerals ) হল ভাষাতত্ত্বে সেই সমস্ত শব্দ যারা কোনো সমষ্টির বিভিন্ন উপাদানের ক্রমিক অবস্থান বর্ণনা করে।[১][২] এই অবস্থান নির্ণয়ের মাপকাঠি হতে পারে আয়তন, গুরুত্ব, বয়স প্রভৃতি যে কোনো বিষয়। বাংলায় কতকগুলি নির্দিষ্ট বিশেষণ পদ এই কাজটি করে থাকে, যথা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ইত্যাদি।
সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে এদের পার্থক্য হল এই যে, এরা উদ্দিষ্ট উপাদানের পরিমাণ নির্দেশ করে না।
বাংলা
(Complementary Numerals )বাংলায় সংখ্যার সাথে নির্দিষ্ট কিছু বিভক্তি যোগ করে পূরণবাচক পদ লেখা যেতে পারে, যেমন ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ১০ম, ১১শ ইত্যাদি। তবে সাধারণত এই পদ্ধতি ৩৮শ (অষ্টাত্রিংশ) এর পরবর্তী সংখ্যাগুলির ক্ষেত্রে প্রচলিত নয়। তারিখ লেখার ক্ষেত্রে পয়লা, দোসরা, তেসরা, চৌঠা, পাঁচই, ছউই প্রভৃতি শব্দগুলি ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে আঠারোই (১৮ই) এর পর থেকে বাকি পূরণবাচক পদগুলি সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে ‘শে’ যোগ করে নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র (center of curvature)এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
বক্ররেখাস্থ একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর জন্য বক্র রেখাটির বক্রতার কেন্দ্র বক্র রেখাটির অবতল অংশের দিকে অবস্থিত এমন একটি বিন্দু যা বক্ররেখাটির উক্ত বিন্দুটিতে সর্বাধিক পরিমাণে সেঁটে যায় এরূপ কোন বৃত্তের (চুম্বনকারী বৃত্ত) কেন্দ্রকে নির্দেশ করে। এছাড়াও আলোকবিজ্ঞানে কোন লেন্স বা গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশবিশেষ সেই গোলকের কেন্দ্রকে ঐ লেন্স বা গোলীয় দর্পণের বক্রতার কেন্দ্র হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র (center of curvature)এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র (center of curvature)এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
center of curvature
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
center of curvature
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
center of curvature
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
center of curvature
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
ভূমি জরিপ হচ্ছে এমন এক কৌশল, পেশা, বিজ্ঞান যা নির্দিষ্টভাবে স্থানসমূহের ভূগোলক বা ত্রিমাত্রিক অবস্থানের পারস্পারিক দূরত্ব এবং কোণ নির্ণয় করতে পারে। এই বিন্দুসমূহে সাধারণত পৃথিবীপৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত এবং তারা অধিকাংশ সময় ভূমি সীমানা নির্ধারণ করে ব্যক্তিগত অথবা সরকারী পর্যায়ে। লক্ষ্য অর্জনের জন্য জরিপাকারীরাগণিত (জ্যামিতি এবং ত্রিকোণমিতি), পদার্থবিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং আইন বিদ্যার সহায়তা নিয়ে থাকে।
ইতিহাস
জরিপের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। এমনকি প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতায় নীল নদের অতি প্লাবনের কারণে জমির সীমানা মুছে যাবার পর দড়ি দিয়ে সীমানা নির্ধারণের নথি পাওয়া গেছে।
ভূগোলবিদ বলতে আমরা সেই পণ্ডিত ব্যক্তিকে বুঝি যার অধ্যয়ন ও গবেষণার ক্ষেত্র হচ্ছে ভূগোল, পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং মানব সমাজ।
যদিও ঐতিহাসিকভাবে যিনি মানচিত্র তৈরি করতেন তাকেই ভূগোলবিদ বলা হতো; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মানচিত্র তৈরি করা শিক্ষার একটি ক্ষেত্র যা মানচিত্রাঙ্কনবিদ্যা নামে পরিচিত এবং এটি ভূগোলের অন্তর্ভুক্ত একটি অধিক্ষেত্র। ভূগোলবিদগণ কেবলমাত্র পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশ বা মানব সমাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাই করেন না, অধিকন্তু তারা এই দু’য়ের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েও গবেষণা করেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ‘প্রাকৃতিক পরিবেশ মানব সমাজে কিভাবে অবদান রাখছে’ – তা নিয়ে গবেষণা করার সাথে সাথে তারা ‘মানব সমাজ কিভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশকে প্রভাবিত করছে’ – সেটিরও অনুসন্ধান করেন ।
বিশেষত: প্রাকৃতিক ভূগোলের গবেষকগণ প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে অধ্যয়ন করেন; বিপরীতে মানবীয় ভূগোল বিশারদগণ মানব সমাজ সম্পর্কে অধ্যয়ন করেন। আধুনিক ভূগোলবিদগণই জিআইএস (ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা) -এর প্রাথমিক পরিচর্চাকারী, যারা প্রায়শ:ই স্থানীয়, রাজ্য ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের পরিবেশ এবং প্রকৌশল সংস্থায় নিযুক্ত হন।
ভূগোলবিদ শিরোনামে জোহানস্ ভারমিরের অঙ্কিত একটি বিখ্যাত তৈলচিত্র রয়েছে, যা কখনো কখনো জোহানস্ ভারমিরেরজ্যোতির্বিদ শিরোনামের চিত্রটির সাথে একত্রে যুক্ত (সিরিজ) বলে ধারণা করা হয়। এই চিত্র দুটিকে ১৬৬৮-৬৯ সালে তাদের অঙ্কনকালীন সময়ে ইউরোপে ভূগোলবিদদের বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানভিত্তিক অভিক্ষিপ্তাবস্থা গড়ে ওঠা ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রতিনিধিত্বকারী বলে মনে করা হয়।
ভূগোলক (ইংরেজি: Geoid/ˈdʒiːɔɪd/) হল এমন এমন ধরনের আকৃতি যা বাতাস ও স্রোতের মত প্রভাবকের অনুপস্থিতিতে অভিকর্ষ বল এবং পৃথিবীর ঘূর্ণনের দরুন মহাসাগরের পৃষ্ঠতলের আকৃতি। এই আকৃতি মহাদেশ থেকে মহাদেশে বিস্তৃতি (যেমন খুবই সরু প্রকল্পিত খালের মত) লাভ করে। এটি সম্পর্কে প্রথম ধারণা দেন কার্ল ফ্রিডরিশ গাউস এবং তিনি এটাকে “পৃথিবীর গাণিতিক আকৃতি” বলে অভিহিত করেন। তিনি আরো বলেন যে, এটি ভরের অসম বণ্টনের দরুন সৃষ্টি হয় এবং এটি মসৃণ কিন্তু অসমতল। এটি শুধুমাত্র বৃহৎ অভিকর্ষীয় পরিমাপ এবং গণনা থেকে জানা সম্ভব হয়। ভূগণিত এবং ভূপ্রকৃতিবিদ্যায় প্রায় ২০০ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে আলোচিত হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এটি স্যাটেলাইটভিত্তিক ভূগণিতের উন্নতির দরুন এটি তখন থেকে নির্ভুলভাবে মাপা সম্ভব হচ্ছে।
ভূগোলকীয় পৃষ্ঠের অভিকর্ষ, বিভব শক্তি এবং কেন্দ্রবিমুখী বিভব শক্তির যোগফল সমান। অভিকর্ষ বল ভূগোলকের সবখানে লম্বভাবে ক্রিয়া করে। এর মানে হল, উল্লম্ব রেখাগুলো কোন বিন্দুর উপরে লম্ব হিসেবে থাকে এবং পানির স্তর ভূগোলকের সমান্তরাল যদি ও কেবল যদি অভিকর্ষ বল এবং কৌণিক ত্বরণের উপস্থিতি বিদ্যমান থাকে। ভূগোলকীয় পৃষ্ঠ উপবৃত্তীয় পৃষ্ঠের উপরে অবস্থান করবে যদি অভিকর্ষের ধনাত্মক পরিবর্তন (ব্যাপক আধিক্য) দেখা যায় এবং ভূগোলকীয় পৃষ্ঠ উপবৃত্তীয় পৃষ্ঠের নিচে অবস্থান করবে যদি অভিকর্ষের ঋণাত্মক পরিবর্তন (ব্যাপক কমতি) দেখা যায়।[১]
বর্ণনা
মিটারস্কেলে ভূগোলকের উঁচু নিচু অবস্থার মানচিত্র (ইজিএম৯৬ অভিকর্ষ মডেল এবং ডব্লিউজিএস৮৪ এর উপবৃত্তের নমুনাকে ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।)[২]
ভূগোলকের পৃষ্ঠ উঁচুনিচু, নমুনা উপবৃত্তের মত নয় (নমুনা উপবৃত্তে পৃথিবীর বাহ্যিক রূপকে গাণিতিক রূপে চিত্রিত করা হয়েছে)। ভূগোলকের পৃষ্ঠ বাহ্যিক পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে তুলনামূলকভাবে মসৃণ। বাহ্যিক পৃথিবীর কোন বিন্দুর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার সীমা +৮,৮৪৮ মিটার (মাউন্ট এভারেস্ট) থেকে −১১,০৩৪ মিটার (মারিয়ানা খাত) এই সীমার মাঝে অবস্থান করলেও ভূগোলকের কোন বিন্দুর সীমা +৮৫ মিটার (আইসল্যান্ড) থেকে –১০৬ মিটার (ভারতের দক্ষিণাংশ) এই সীমায় বিস্তৃত, যার সীমা ২০০ মিটারেরও কম।[৩]
মহাসাগরগুলো যদি আইসোফিকনিক (ধ্রুব গভীরতাবিশিষ্ট) এবং জোয়ারভাটা, স্রোত কিংবা আবহাওয়া সংক্রান্ত কোন বিষয় যদি মহাসাগরগুলোতে প্রভাব বিস্তার না করত, তবে এর পৃষ্ঠের আকৃতি ভূগোলকের ন্যায় হত। ভূগোলক এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের গড় উচ্চতার মধ্যকার পার্থক্য “মহাসাগরীয় পৃষ্ঠের ভূসংস্থান” নামে পরিচিত। মহাদেশীয় ভূমিতে যদি বহু সুরঙ্গ বা খাল জালের ন্যায় বিস্তৃত থাকে, তবে ঐ খালগুলোর পানির উচ্চতা এবং ভূগোলকের খুব বেশি পার্থক্য থাকবে না। বাস্তবে, মহাদেশের অধীনে ভূগোলকীয় ধারণা প্রদান করা কষ্টকর হলেও ভূতত্ত্ববিদরা অনুমানের ভিত্তিতে মহাদেশীয় বিন্দুর উচ্চতা বের করেছেন, স্পিরিট লেভেলিংয়ের মাধ্যমে বাহ্যিক বর্ণনা প্রদান করা এখনো সম্ভব হয় নি।
সমকক্ষীয় পৃষ্ঠ হবার দরুন ভূগোলকের সবখানে অভিকর্ষ বল লম্বভাবে কাজ করে। এর মানে হল, যখন জাহাজে সাগর দিয়ে যাবার সময় ভূগোলকের উঁচুনিচু খেয়াল করবেন না; স্থানীয় উল্লম্ব রেখা (লম্বসূত্র) সবসময় একে স্পর্শ করা স্থানীয় স্পর্শকের উপরে লম্ব। একইভাবে, স্পিরিট লেভেলকে অবশ্যই ভূগোলকের সমান্তরাল হতে হবে।
দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রার ক্ষেত্রে স্পিরিট লেভেলিংয়ের মাধ্যমে উচ্চতার তারতম্য দেখা যায়, যদিও জাহাজ সর্বদা সমুদ্রপৃষ্ঠে অবস্থান করে (স্রোতের প্রভাব বিবেচনা না করে)। এটা হবার কারণ হল জিপিএস ভূ-উপগ্রহগুলো পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে আর এটি কেবল আপেক্ষিক মান সরবরাহ করতে পারে। কোনো কিছুর ভূগোলকীয় উচ্চতা বের করতে হলে খসড়া জিপিএস মানকে অবশ্যই সঠিক হতে হবে। বিপরীতভাবে, স্পিরিট লেভেলিংয়ের মাধ্যমে স্রোত পরিমাপ স্টেশন থেকে মাপা উচ্চতাকে ভূমি জরিপের ক্ষেত্রে সচরাচর ভূগোলকীয় উচ্চতা বলে গণ্য করা হয়। আধুনিক জিপিএস গ্রাহকে ইজিএম-৯৬ এর মত ভূগোলক এবং ওয়ার্ল্ড জিওডেটিক সিস্টেমের উপবৃত্তকে কাজে লাগিয়ে কাজ সম্পাদন করা হয়ে থাকে। তখন ওয়ার্ল্ড জিওডেটিক সিস্টেমের উপবৃত্তকে ও ডব্লিউজিএস৮৪ এর ভূগোলককে কাজে লাগিয়ে উচ্চতার মান সঠিকভাবে বের করা সম্ভব হয়। যখন জাহাজে থাকাকালীন সময়ে উচ্চতার মান শূন্য হয় না, তখন সমুদ্রস্রোত, বায়ুচাপ (আবহাওয়ার প্রভাব) এবং স্থানীয় সমুদ্রপৃষ্ঠীয় ভূসংস্থান এর পিছনে কাজ করে থাকে।
সাধারণ উদাহরণ
পৃথিবীর অভিকর্ষীয় ক্ষেত্র নিখুঁত নয় আবার একরূপও নয়। চ্যাপ্টা উপবৃত্তকে সচরাচর পৃথিবীর আদর্শ আকার হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু, পৃথিবী যদি পুরোপুরিভাবে গোলাকার হত, তবে সবখানে অভিকর্ষীয় ক্ষেত্রের প্রভাব সমান হত না কেননা পৃথিবীর ঘনত্ব (এবং ভর) এই গ্রহের সবখানে সমান নয়। এটি হবার কারণ হল ম্যাগমার উপস্থিতি, শৃঙ্গের উপস্থিতি, গভীর সামুদ্রিক খাদের উপস্থিতি এবং অন্যান্য কারণ।
যদি পানিতে এই আদর্শ গোলকটি ডুবে থাকে, তবে পানির উচ্চতাও সবখানে সমান হবে না। এটা হবার কারণ হল, পৃথিবীতে স্থানভেদে অভিকর্ষীয় শক্তির প্রভাব উচ্চ কিংবা নিম্ন হব। সেজন্য, স্থানভেদে পানির উচ্চতার হ্রাসবৃদ্ধি দেখা যাবে।
গোলীয় সুরবিজ্ঞানের সাহায্যে উপস্থাপন
গোলীয় সুরবিজ্ঞান প্রায়শই ভূগোলকের আনুমানিক আকৃতি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বর্তমানে ইজিএম৯৬ (আর্থ গ্রাভিটি মডেল ১৯৯৬) কে কাজে লাগিয়ে ভূগোলকের আকৃতি নির্ণয় করার কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে।[৪] এটি ন্যাশনাল ইমেজারি অ্যান্ড ম্যাপিং এজেন্সি (বর্তমান ন্যাশনাল জিওস্পাশাল এজেন্সি বা এনজিএ) কর্তৃক নির্ধারিত। এই মডেলের অঘূর্ণায়মান অংশ বের করার সূত্রটি হল:[৫] V = G M r ( 1 + ∑ n = 2 n max ( a r ) n ∑ m = 0 n P ¯ n m ( sin ϕ ) [ C ¯ n m cos m λ + S ¯ n m sin m λ ] ) ,
ভূগোলকের উঁচুনিচু অবস্থাকে (উল্লম্ব রঙের সাহায্যে) ত্রিমাত্রিক চিত্রে দেখানো হয়েছে। এখানে গ্যাল এককের ব্যবহার করা হয়েছে।
এখানে ϕ
এবং λ
হল যত্রাক্রমে “ভূকেন্দ্রিক” (গোলাকার) অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ, P ¯ n m
হল সহযোগী ল্যাগ্রাঞ্জীয় বহুপদী, যার মাত্রা n
ও ক্রম m
, এবং C ¯ n m
ও S ¯ n m
হল গাণিতিক সহগ, যেগুলো নির্ধারণ হয়েছে নির্ণয় করা গাণিতিক তথ্যের সাহায্যে। উপরিবর্ণিত সমীকরণে পৃথিবীর অভিকর্ষীয় প্রাবাল্য হিসেবে V
ব্যবহৃত হয়েছে, ভূগোলককে ব্যবহার না করে। ঐ স্থান থেকে ϕ , λ , r ,
ছাড়াও r
বের করা হয় যা “ভূকেন্দ্রিক ব্যাসার্ধ” নামে পরিচিত। এটি হল পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরত্বের মান। ভূগোলক হল বিশেষ সমকক্ষীয় পৃষ্ঠ[৫] এবং এটি এর আকার নির্ণয়ে সহায়তা করে থাকে। এর নতির সাথে অভিকর্ষীয় ত্বরণের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ইজিএম৯৬ এর মাঝে বহু সহগ ও মাত্রা খুঁজে পাওয়া যায়, এবং এর ৩৬০ ক্রম (উদাহরণস্বরূপ n max = 360
) বর্ণনা করে থাকে বৈশ্বিক ভূগোলক সম্পর্কে যা ৫৫ কিলোমিটার (বা ১১০ কিলোমিটার, এটি নির্ভর করে কারো এর ধারণা বিশ্লেষণের পার্থক্যের উপর)। গাণিতিক সহগ, C ¯ n m
এবং S ¯ n m
এর মান নির্ণয় সম্ভব V এর সমীকরণ দেখে। এই দুইটি গাণিতিক সহগের মান m = ০ ব্যতীত সব মানের জন্য বের করা সম্ভব। m=০ হলে কেবলমাত্র একটি মান পাওয়া যায়। কারণ, sin ( 0 λ ) = 0
। এখানে (2n+1), এই গাণিতিক সহগটি কাজ করে। এতে n এর মানের কোন প্রভাব পড়ে না। এই বিষয় এবং সূত্রকে কাজে লাগিয়ে, ∑ I = 1 L I = L ( L + 1 ) / 2
, এরপর সর্বমোট সহগ সংখ্যা হল ∑ n = 2 n max ( 2 n + 1 ) = n max ( n max + 1 ) + n max − 3 = 130317
এখানে ইজিএম৯৬ এর মান n max = 360
বহু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ধারাকে অপ্রয়োজনীয় জটিল জিনিস বলে গণ্য করা হয় এবং অল্প (সম্ভবত কয়েক ডজন বার) ধাপ করার পর এই প্রক্রিয়ার ইতি টানা হয়।
উচ্চ মানের মডেলকে বর্তমানে উন্নয়ন করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ইজিএম৯৬ প্রণেতারা উন্নত মডেল নিয়ে কাজ করছেন যার সাথে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া অভিকর্ষীয় তথ্যের (যেমন গ্রাভিটি রিকভারি অ্যান্ড ক্লাইমেট এক্সপেরিমেন্ট) গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান এবং এটি ২১৬০ ক্রম ও মাত্রা উপর পর্যন্ত কাজ করতে সক্ষম (এখানে এক ডিগ্রির এক ষষ্ঠমাংশ এবং ৪০ লক্ষাধিক সহগ ব্যবহৃত হবে)।[৬]
এনজিএ ইজিএম২০০৮ নামের নতুন মডেল এনেছে, যেখানে গোলকীয় সুরবিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ২১৫৯ মাত্রা ও ক্রমের ব্যবহার করা হয় এবং অতিরিক্ত মাত্রা ও ক্রমের মান যথাক্রমে ২১৯০ ও ২১৫৯ এ পৌঁছায়।[৭] এই ধরনের মডেলের ডাটাকে কাজে লাগিয়ে সফটওয়ারও বের করা হয়েছে।[৭]
আদর্শ ভূগোলক
পিটার ভানিসেকের ও তার সহকর্মীরা স্টোকসীয় পদ্ধতির সাগায্যে আদর্শ ভূগোলকীয় সমাধান বের করতে সক্ষম হয়েছেন।[৮] তাদের এই সমাধান ভূগোলকীয় সমাধানের ক্ষেত্রে প্রায় সম্পূর্ণ নিখুঁত এবং পূর্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সমাধানের মাত্রার মানের ক্ষেত্রেও উন্নতি সাধিত হয়েছে।[৯][১০][১১][১২]
ব্যতিক্রম
অভিকর্ষীয় ও ভূগোলকীয় ব্যতিক্রম সংঘটিত হতে পারে প্রসঙ্গ বস্তু থেকে ভূত্বক এবং অশ্মমণ্ডলীয় পুরুত্বের পরিবর্তনের দরুন। প্রতিটি বিন্যাসই স্থানীয় সমস্থিতিক পূর্ণতার অধীন।
ভূগোলকীয় পৃষ্ঠের উচ্চতা পৃথিবী পৃষ্ঠের ঘনত্বের তারতম্যের উপর নির্ভরশীল। ভূগোলকীয় পরিমাপ আমাদের এই গ্রহের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। পুরু ভূত্বকের ভূগোলকীয় নিদর্শন ধনাত্মক হলে এর পুরুত্ব সমগ্র অশ্মমণ্ডলে প্রভাব বিস্তার করবে (উদাহরণস্বরূপ, অরোজেনিক বেল্টে মহাদেশীয় সংঘর্ষ)।
সময়-পরিবর্তনীয়তা
সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট মিশন যেমন, গ্রাভিটি ফিল্ড অ্যান্ড স্টেডি-স্টেট ওশান সার্কুলেশন এক্সপ্লোরার এবং গ্রাভিটি রিকভারি অ্যান্ড ক্লাইমেট এক্সপেরিমেন্ট ভূগোলকের সময় পরিবর্তনীয় বিষয় নিয়ে কাজ করেছে। ২০১০ সালের জুন মাসে গ্রাভিটি ফিল্ড অ্যান্ড স্টেডি-স্টেট ওশান সার্কুলেশন এক্সপ্লোরারের স্যাটেলাইট তথ্যকে ভিত্তি করে পাওয়া তথ্য ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার ভূপর্যবেক্ষণ ব্যবহারকারী সেবা সরঞ্জামের মাধ্যমে অনলাইনে আসে।[১৩][১৪]ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ২০০৯ সালের মার্চ মাসে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করেছিলন। এর উদ্দেশ্য ছিল স্থানিক বিশ্লেষণের সাথে নজিরবিহীন নিখুঁত মানের সাহায্যে অভিকর্ষীয় ত্বরণ চিত্রায়ন। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ মিউনিখ কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ আন্তর্জাতিক গ্রাভিটি ফিল্ড অ্যান্ড স্টেডি-স্টেট ওশান সার্কুলেশন এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারী সম্মেলনে নতুন ভূগোলকীয় মডেল প্রকাশ করা হয়।[১৫] সময়-পরিবর্তনীয় ভূগোলকে গ্রাভিটি ফিল্ড অ্যান্ড স্টেডি-স্টেট ওশান সার্কুলেশন এক্সপ্লোরার থেলে পাওয়া পানিচক্রের তথ্য,[১৬] হিমবাহের ভারসাম্য সংক্রান্ত তথ্য,[১৭] এবং হিমবাহ পরবর্তী ভূমির উত্থান সংক্রান্ত তথ্য[১৮] অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হিমবাহ পরবর্তী ভূমির উত্থান সংক্রান্ত তথ্যে সময়-পরিবর্তনীয় গ্রাভিটি ফিল্ড অ্যান্ড স্টেডি-স্টেট ওশান সার্কুলেশন এক্সপ্লোরার থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করে ম্যান্টলের সান্দ্রতা বের করা হয়েছে।[১৯]
মঙ্গলের ভূগোলক মেরিনার ৯ এবং ভাইকিংয়ের মত স্যাটেলাইট প্রোগ্রামের সাহায্যে বের করা সম্ভব হয়েছে। উপবৃত্ত থেকে নির্গত প্রধান বস্তুকে থারসিস আগ্নেয় মালভূমি (থারসিস হল একটি মহাদেশ আকৃতির ভূখণ্ড যা একটি আগ্নেয় মালভূমি) ও এর বিপরীত পৃষ্ঠ থেকে নির্গত আদর্শ প্রবাহী বস্তু বলে ধারণা করা হচ্ছে।[২১]